WHAT'S NEW?
Loading...


আধুনিক ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিজ্ঞানীরা কানাডার একটি সম্পূর্ণ নদীকে দিনের ব্যবধানে বিলীন হয়ে যেতে দেখলেন।
এধরনের ঘটনাকে river piracy বা বাংলায় নদী দস্যুতা বলা যেতে পারে, যাতে একটি নদীর প্রবাহ অন্য নদী দখল করে নেয়। ঐতিহাসিক আলামত সাক্ষ্য দেয় এই প্রক্রিয়ায় একটি নদী বিলীন হয়ে যেতে হাজার হাজার বছর সময় লাগে, কিন্তু এই ক্ষেত্রে স্লিমস নামের নদীটি কেবল চার দিনের মধ্যে বিলীন হয়ে গেছে, যা গবেষকদের মতে ভূতাত্ত্বিক হিসেবে ‘তাৎক্ষণিক ঘটনা’। ভুতাত্ত্বিক অধিকাংশ ঘটনাই ঘটে লক্ষ বা কোটি বছর ধরে, নিদেন পক্ষে হাজার বছর সময় লাগে।
ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটন টাকোমার গবেষক, ড্যান শুগার বলেন, “ভূতাত্ত্বিকগণ নদী দস্যতা পর্যবেক্ষণ করেছেন, কিন্তু আমাদের জানা মতে এখন পর্যন্ত আমাদের জীবদ্দশায় এটি কেউ প্রত্যক্ষ করেন নি।” তিনি বলেন, “মানুষ কোটি কোটি বছরের ভুতাত্ত্বিক রেকর্ড থেকে এধরনের ঘটনা অনুধাবন করেছেন কিন্তু আমাদের নাকের ডগায় মূহুর্তের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটবে তা কেউ আশা করে নি।”
ইউকনে প্রবাহিত স্লিমনদীর ধারে শুগার এবং তাঁর সহগবেষকবৃন্দ গিয়েছিলেন অন্য গবেষণার জন্য। কিন্তু সেখানে যখন পৌঁছালেন তখন দেখলেন গড়ে আধকিলোমিটার প্রশস্ত নদীর পানি স্রেফ উধাও হয়ে গেছে। তার বদলে পানির একটি সুক্ষ রেখা প্রবাহিত হয়ে দেখা গেছে।
নদীর পানি কোথায় গেলো তা খুঁজে দেখতে গবেষক দলটি ড্রোন এবং হেলিকপ্টার দিয়ে জরিপ করে দেখে এবং লক্ষ্য করে অন্য একটি নদীর দস্যতায় বিলীন হয়ে গেছে এই নদীটি।
গত ৩০০-৩৫০ বছর ধরে স্লিমস নদী, কাস্কাউলশ নামক একটি হিমবাহের বরফগলা পানির মাধ্যমে প্রবাহিত হয়ে আসছিলো। কিন্তু ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক উষ্ণতায় অধিকতর হারে বলফ গলতে থাকায় তার চাপে নতুন একটি নালার সৃষ্টি হয় এবং এর ফলে পানির গতিপথ বদলে গিয়ে কাসকাউলশ নদীতে গিয়ে পড়ে।
এই ঘটনাটি কেবল এর দ্রুততার জন্যই অভিনব তা নয়, বরং গবেষকদের ধারণা, এটাই নদী পথের পরিবর্তনের প্রথম মানবসৃষ্ট কারণ।



ছোটবেলায় বাবা মায়ের কাছে আমাদের আবদারের শেষ ছিলো না, এটা চাই ওটা চাই লেগেই থাকতো। যদি আকাঙ্ক্ষিত বস্তু না পেতাম, শুরু করে দিতাম কান্নাকাটি। জন্মের পর থেকেই মানুষের সেই যে কাঁদার শুরু হয়েছে, সময়ের প্রয়োজনে বড় হওয়ার পরও বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন সময়ে এখনো মানুষ কাঁদে। আর যখন আমরা কাঁদি চোখ দিয়ে পানির স্রোত বয়ে যায়। কিন্তু আমরা কি জানি কেনো আবেগ, দুঃখ, হতাশা আর আনন্দে আমাদের চোখ দিয়ে পানি বের হয়? এর উৎস-ই বা কোথায়? চলুন জানা যাক।
কান্না একটি সহজাত ব্যাপার। গবেষণায় জানা যায় যে শুধুমাত্র মানুষ-ই নয়, প্রাণিজগতের আরো কয়েকটি সদস্যের কাঁদার ক্ষমতা আছে। তবে আবেগে কাঁদার বৈশিষ্ট্যটি মানুষের জন্য মৌলিক। মানুষ কেবল কষ্ট পেলেই কাঁদে না, সে আনন্দে কাঁদতে পারে, হতাশায় কাঁদতে পারে। আমরা কেনো কাঁদি গবেষকরা এখনো তার সঠিক কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেন নি। তবে কিছু তত্ত্বগত ব্যাখ্যা অবশ্য আছে। কোনো কোনো বিজ্ঞানী মনে করেন যে মানুষ তার শারীরিক ও মানসিক ব্যাথা প্রকাশের জন্য কাঁদে। তবে পিটাসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্ট ডক্টরেট লরেন বিলস্মা (Lauren Bylsma) বলেন, “মানুষ নিজের আবেগময় মুহূর্তে পাশের মানুষটির সমর্থন লাভের উদ্দেশ্যে কাঁদে।” যেমন বাচ্চারা মায়ের মনোযোগের উদ্দেশ্যে কাঁদে।
অশ্রু সাধারণত অক্ষিগোলকের বাইরের উপরের অংশে অবস্থিত ল্যাক্রিমাল গ্রন্থি (Lacrimal Gland) থেকে উৎপন্ন হয়। গুয়েলফ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নায়ুবিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক মার্ক ফেন্সকে (Mark Fenske) বলেন যে মস্তিষ্কের আবেগপ্রবণ অঞ্চল, হাইপোথ্যালামাস (Hypothalamus) ও ব্যাসাল গ্যাংগিলার (Basal Gangila) সাথে ব্রেইন্সটেম-এর (Brainstem) ল্যাক্রিমাল নিউক্লিয়াস যুক্ত। যখন আবেগ (যেমন ব্যাথা বা আনন্দ) অনুভূত হয় তখন ল্যাক্রিমাল অশ্রু উৎপাদন করে।
উল্লেখ্য ল্যাক্রিমাল কেবল আবেগের ফলেই অশ্রু উৎপাদন করে না। ল্যাক্রিমালকে আমরা একপ্রকার স্বয়ংক্রিয় পানি উৎপাদন ও সরবরাহকারী হিসেবে গণ্য করতে পারি। কারণ, প্রতি সেকেণ্ডেই ল্যাক্রিমাল গ্রন্থি থেকে অশ্রু উৎপাদিত হয় যা প্রোটিনসমৃদ্ধ ও ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী (Antibacterial)। উৎপাদিত অশ্রু অক্ষিগোলক ও অক্ষিপটের মাঝে পিচ্ছিল স্তরের সৃষ্টি করে ফলে আমরা পলক ফেলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। মাইকেল ট্রিম্বেল (Michael Trimble) বলেন , “অশ্রু অক্ষিগোলককে আর্দ্র রাখতে প্রয়োজনীয়। এটি প্রোটিনযুক্ত এবং চোখকে সুরক্ষিত রাখতে প্রয়োজনীয় উপাদান ধারণ করে এবং সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।”
ল্যাক্রিমালে যখন অতিরিক্ত অশ্রু উৎপাদিত হয় তখন এই অতিরিক্ত অংশ নাসারন্ধ্রের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ফলে বাস্তবে ‘চোখের জল নাকের জল’ এক হয়ে যাওয়া ব্যাপারটা সত্য। তাদের উৎপত্তিস্থল এক, কেবল পথ আলাদা। নাকের ভেতর দিয়ে পানি প্রবাহের এই ঘটনাকে বিজ্ঞানীরা নাকের জন্যে ভালো বলে মনে করেন। তবে অতিরিক্ত কান্নার ফলে মাথাব্যাথা হতে পারে। এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে কোনো কোনো গবেষক মনে করেন যে অতিরিক্ত অশ্রু উৎপাদনের ফলে ল্যাক্রিমালে পানিশুন্যতা (Dehydration) হয়ে থাকে যার ফলে মাথাব্যাথা হয়। আবার অনেকে মনে করেন যে অতিরিক্ত কান্নার ফলে পেশীগুলো কিছুসময়ের জন্য দৃঢ় হয়ে যায় এবং মাথাব্যাথা অনুভূত হয়।
জৈবরাসায়নিকভাবে অশ্রুর উপাদান প্রধানত তিনটি; প্রোটিন, লবণ এবং কয়েক প্রকার হরমোন, যা আমাদের লালা (Saliva)-র সদৃশ। চোখের পানিকে সাধারণ দৃষ্টিতে পার্থক্য করা না গেলেও কাজের ধরণ অনুযায়ী এটি তিন প্রকারঃ
(১) মৌলিক অশ্রু (Basal Tear) : ল্যাক্রিমাল থেকে এর উৎপাদন বিরতিহীনভাবে চলে। এটি অক্ষিগোলককে পিচ্ছিল করে, পুষ্টি যোগায় এবং রক্ষা করে।
(২) প্রতিরোধী অশ্রু (Reflex Tear) : বহিরাগত বস্তু যেমন বাতাস, ধোঁয়া, ধূলাবালি অথবা তীব্র আলো চোখে প্রবেশের ফলে এই প্রকার অশ্রু উৎপন্ন হয় এবং চোখকে রক্ষা করে।
(৩) আবেগময় অশ্রু (Emotional Tear) : আবেগ-অনুভূতি প্রকাশের উদ্দেশ্যে এই প্রকার অশ্রুর উৎপত্তি হয় এবং চোখের বাইরে ঝরতে থাকে।
তিনধরণের অশ্রুই একই উৎস থেকে উৎপন্ন হলেও তাদের রাসায়নিক উপাদানের অনুপাতে তারতম্য দেখা যায়। যেমন, আবেগময় অশ্রুতে প্রোটিনের মাত্রা বেশি থাকে। এছাড়া এতে লিউসিন (Leucine) নামক প্রাকৃতিক ব্যাথানাশক, এনকেফ্যালিনও (Enkephalin) পাওয়া যায় এবং ধারণা করা হয় যে এই উপাদানগুলোর জন্যই কাঁদার পর মানসিকভাবে হালকা অনুভূত হয়।
একজন স্বাভাবিক সুস্থ মানুষের ল্যাক্রিমাল গ্রন্থিতে গড়ে প্রতিদিন ১০ আউন্স এবং প্রতিবছর ৩০ গ্যালনের (১ গ্যালন = ৪.৪৫৩৪ লিটার) মত অশ্রু উৎপাদিত হয়। তবে লিঙ্গভেদে এর পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। স্বাভাবিকভাবে একজন মহিলা একজন পুরুষের থেকে বেশি কাঁদে। গবেষকদের ধারণা অনুযায়ী মহিলাদের কান্নার মাত্রা গড়ে প্রতিমাসে ৫.৩ গুণ এবং প্রত্যেকবারের গড় সময় ৬ মিনিট যেখানে পুরুষের ক্ষেত্রে এই পরিমাণ গড়ে প্রতিমাসে ১.৪ গুণ এবং সর্বোচ্চ ২ মিনিট। মাইক্রোস্কোপের নিচে পুরুষের অশ্রুগ্রন্থির কোষকে মহিলাদের অশ্রুগ্রন্থির কোষের থেকে বড় দেখা যায়। যার ফলে মহিলাদের অশ্রু খুব দ্রুত তাদের গাল বেয়ে নেমে যায়, কিন্তু পুরুষের ক্ষেত্রে জলের ধারা কিছুটা পাইপের আকার ধারণ করে ও ঝরে যেতে সময় বেশি নেয়।
বয়স বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে মানুষের শারীরিক অনেক পরিবর্তন হয়। ছোট থেকে বড় হওয়া, তারপর বার্ধক্য, চামড়ায় ভাঁজ, দূর্বলতা, চুলে পাক ধরা, চুল পড়ে যাওয়া সহ আরো অনেক পরিবর্তন। কিন্তু একমাত্র অক্ষিগোলকের আয়তন এবং চোখের পানি উৎপাদন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত চলে।



রাহেলা তার জীবনে প্রথমবার মা হতে চলেছে। গ্রাম থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এক দিন আগে চলে এসেছে হাসপাতালে। কোনো জটিলতা ছাড়াই প্রথম সন্তানকে স্বাগত জানাতে চায় তারা। দীর্ঘ আট ঘণ্টা প্রসব যন্ত্রণার পর ছেলে সন্তান ভূমিষ্ঠ হলো। কিন্তু জন্মের পরপরই শিশুটির ভয়ানক শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে গেলো। শীত মৌসুমে এরকমটা খুবই স্বাভাবিক। পরীক্ষা করে জরুরী ভিত্তিতে বাচ্চাকে অ্যান্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব করে দিলেন চিকিৎসক। এক দিন পর বাচ্চার অবস্থার আরো অবনতি হলো। শ্বাস নেবার সময় বুকের নীচের অংশ নীচের দিকে বসে যাচ্ছে।
অ্যান্টিবায়োটিক কালচার সেনসিটিভিটি টেস্ট করে দেখা গেল, Amoxicillin, Contrimoxazole, Nalidixic Acid, Gentamicin, Ceftazidime, Amikacin, Ciprofloxacine, Ceftriaxone, Cefotaxime, Cefuroxime, Aztreonam এবং Netilmicin গ্রুপের প্রতিটি অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে তার শরীরে আক্রমণকারী জীবাণুটি প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। অর্থাৎ কোনো অ্যান্টিবায়োটিকই শিশুটির জন্য এখন আর কার্যকর নয়। একমাত্র Meropenem বাকি আছে। চিকিৎসক হতবাক। এই বাচ্চার যদি এখনই এই অবস্থা হয়, তাহলে তো অনেক সমস্যা দেখা দেবে। এবারের মতো সুস্থ করে তোলা যাবে হয়তো, কিন্তু দীর্ঘ জীবনের বাকি দিনগুলোতে নিশ্চয়তা দেবার মতো কিছুই আর বাকি রইল না।
কিন্তু কী এই অ্যান্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্স? এক কথায় জীবাণুগুলোর অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে যাওয়াকেই বলে অ্যান্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্স। একটি প্রজাতি ক্রমাগত একই ধরনের বিষাক্ত পর্দাথের সংস্পর্শে বহুদিন আসতে থাকলে ধীরে ধীরে সেই প্রজাতির বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন ঘটে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম পর্যন্ত বিস্তৃত সেই পরিবর্তন। এই ধারাবাহিকতায় হঠাৎ করে এমন একটি পরিবর্তন চলে আসে যার ওপর সেই বিষাক্ত পদার্থ আর বিষাক্ত হিসেবে কাজ করবে না। এন্টিবায়োটিকও জীবাণুর জন্য একপ্রকার বিষাক্ত পদার্থ। প্রতিরোধের মাধ্যমে জীবাণুও হয়ে যেতে পারে এর প্রতি সহনশীল।
এধরনের প্রতিরোধী প্রজাতিকে বলা হয় সুপার বাগ। এরা কতটা ভয়ংকর, সেটা বুঝতে হলে ইতিহাসের দিকে একটু তাকাতে হবে। প্লেগ, কলেরা, যক্ষ্মায় একসময় লাখ লাখ মানুষ মারা যেত। ব্যাকটেরিয়াজনিত এসব রোগের কোনো ওষুধ ছিল না সে যুগে। এ অবস্থার পরিবর্তন আসে আলেকজান্ডার ফ্লেমিংয়ের পেনিসিলিন আবিষ্কারের পর।
মাত্র এক শতাব্দী আগের কথা। পেনিসিলিন আবিষ্কারের পর বিজ্ঞানীরা একের পর এক নতুন নতুন অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কার করলেন। তারই ফসল হচ্ছে আজকের চিকিৎসাবিজ্ঞানের জয়যাত্রা। যক্ষ্মা, কলেরা এসব রোগকে এখন কেউ পাত্তাই দেয় না আর। সবাই জানে এসব রোগের চিকিৎসা আছে। অনেকের আবার ডাক্তারের পরামর্শও নেবার দরকার পড়ে না। জ্বর হলেই কোনো একটা অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। পরদিন সুস্থ। তারপরও খারাপ লাগলে আর ২-১ ডোজ। এরপর শরীর একটু ভালো হয়ে গেলে আর ওষুধ খায় না। সাময়িক সুস্থ হয়ে খুশিমনে জীবনের গতিতে চলতে থাকে।
কিন্তু তাদের কারণে এমন এক সমস্যার সৃষ্টি হয়, যার মাশুল গুণতে হয় সকল মানুষকে। এমনকি যারা অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করেনি তারাও এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। অ্যান্টিবায়োটিকের পুরো কোর্স শেষ না করলে দেহের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া পুরোপুরিভাবে ধ্বংস হয় না। মানুষটিকে আপাতদৃষ্টিতে সুস্থ বলে মনে হলেও, তার ভেতরে যে অল্প কিছু জীবাণু রয়ে গেছে, সেগুলো শিখে যায় কী ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক তার ক্ষতি করতে পারে। তারপর কয়েক প্রজন্মে তার জেনেটিক পরিবর্তন ঘটে এবং সেসব অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে টিকে থাকার উপায় বাতলে নেয়।
জীবাণুগুলো বংশপরম্পরায় এই বৈশিষ্ট্য রেখে যায়। এরা হয় অপ্রতিরোধ্য। এগুলোই সেই ‘সুপার বাগ’। পরবর্তীকালে একই অ্যান্টিবায়োটিক আর সেই সুপারবাগের ওপর কাজ করে না। আবার এই সুপারবাগ বায়ু, পানি, মাটি ইত্যাদি বিভিন্ন মাধ্যমে স্থানান্তরিত হয়ে অন্য কারো দেহে প্রবেশ করে। এতে দেখা যায়, নতুন পোষকের শরীরেও সেই অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ করে না। তখন আরো শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হয়। ভয়ংকর ব্যাপার। ভয়ংকরতার মাত্রা চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়ছে।
এটা অনেক বড় সমস্যা, কিন্তু তার চেয়েও বড় সমস্যা হচ্ছে এসব জীবাণুর জন্য শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কার করা যায় না। ধীরে ধীরে অ্যান্টিবায়োটিকের আবিষ্কার কমে আসতে আসতে এখন আশংকাজনক অবস্থানে পৌঁছেছে। ধারণা করা হচ্ছে, শিগগিরই এসব সুপারবাগের বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো আর ওষুধ থাকবে না মানুষের হাতে। এখন পর্যন্ত পাঁচ প্রজন্মের অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কৃত হয়েছে। এর মধ্যে তৃতীয় ও চতুর্থ প্রজন্মের অ্যান্টিবায়োটিক আমরা হরহামেশা ব্যবহার করছি। যেখানে প্রথম ও দ্বিতীয় প্রজন্মের অ্যান্টিবায়োটিকগুলোর বিরুদ্ধে প্রায় সব ব্যাকটেরিয়া সম্পূর্ণ রেজিস্ট্যান্স হয়ে গেছে।
এ অবস্থা চলতে থাকলে শিগগিরই এমন এক অবস্থায় আমরা উপনীত হবো, যখন আর অ্যান্টিবায়োটিক কাজই করবে না। আবার আমরা সেই পুরোনো দিনে ফিরে যাবো, যখন কলেরায় গ্রামের পর গ্রাম ব্যাপী মানুষ মারা যেত।
ফিরে আসি সেই শিশুটির কথায়। শিশুটিকে তার শরীরে কাজ করবে এমন একমাত্র অ্যান্টিবায়োটিক Meropenem দিয়ে ভালো করে তোলা হলো সে বারের মতো। কিন্তু সে কি জীবনে আর কখনো সুপারবাগ ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগে অসুস্থ হবে না? তখন কী অ্যান্টিবায়োটিক দেবে? এজন্য দরকার সচেতনতা। ভুলেও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করবেন না। অবশ্যই একবার শুরু করলে এর সম্পূর্ণ কোর্স সম্পন্ন করবেন। উন্নত দেশে এখন রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপসন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রিই আইনত দণ্ডনীয়। সচেতনতা না বাড়ালে আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের মানুষই হবেন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ।



একটা কৃত্রিম উপগ্ৰহ মূলত তিনটি কাজ করে থাকে। পৃথিবীর গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে তারা সিগন্যাল বা সংকেত গ্ৰহণ করে। সেই সংকেতকে প্রসেস বা বিশ্লেষণ করে এবং তারপর ঐ সিগন্যালকে আবার গ্ৰাউন্ড স্টেশনে ফেরত পাঠায়।
অনেকগুলো ইলেকট্রনিক সিস্টেমের সাহায্যে একটা কৃত্রিম উপগ্ৰহ এই কাজটা করে থাকে, যা চাঁদ বা প্রাকৃতিক উপগ্ৰহ দিয়ে সম্ভব নয়। তাছাড়া প্রাকৃতিক উপগ্রহ বা চাঁদ কখনই একই স্থানে থাকে না, স্থান পরিবর্তন করে।
কিন্তু কৃত্রিম উপগ্রহগুলি জিও-স্টেশনারী বা ভূসমলয় কক্ষে থাকার ফলে ঐ সমস্যা নেই। আর একটা কারণ হলো চাঁদ পৃথিবী থেকে অনেকটা দূরে থাকার দরুণ সিগন্যাল আসা-যাওয়া করতে ১/৪ সেকেন্ডের বেশি সময় লাগে।



যে কোনও বস্তুই ঠাণ্ডা বা গরম লাগে, কারণ সেই বস্তুতে আমাদের হাতের উত্তাপ চলে যায় বা বস্তুর উত্তাপ আমাদের হাতে চলে আসে। যে কোনও ধাতব বস্তু হলো তাপের সুপরিবাহী। তাই ধাতব বস্তু স্পর্শ করলে হাত থেকে তাপ চট করে চলে যাবে তাতে। মনে হয় যেন ঠাণ্ডা লাগল। কাঠ তাপের কুপরিবাহী। তাই হাতের মাধ্যমে উত্তাপ যাবার সম্ভাবনা নেই। সেইজন্য কাঠের বস্তু স্পর্শ করলে গরমই লাগে।



যে কোনও বস্তু, তা নরম হোক বা শক্ত হোক, ভঙ্গুর বা অভঙ্গুর হোক, তা মূলত নির্ভর করে বস্তুটিতে অণুর বিন্যাসের ওপর এবং নিশ্চিতভাবেই ঐ অণু বা পরমাণুর মধ্যেকার যোজক বা বস্তুগুলির ওপর। সাধারণত যে সব বস্তু ভঙ্গুর নয়, তাতে চাপ দিলে ঐ বস্তুর অণুগুলি নমনীয়তার জন্য সাময়িক স্থান বদল করে। এই পদ্ধতিকে বলে ডিফরমেশন। নমনীয় যোজক বা বন্ধনসম্পন্ন বস্তুতেই ডিফরমেশন ঘটে। তাই চাপে ঐ সব বস্তু কখনই ভাঙে না। কিন্তু কাচের মধ্যে আছে নানা রকমের অণু। সিলিকন, অক্সিজেন, বোরন এবং আরও কিছুর অণু এক শক্ত বন্ধনের মাধ্যমে আবদ্ধ থাকে কাচের মধ্যে। ঐ বন্ধন মোটেও নমনীয় নয়, বরং খুবই দৃঢ়। তাই চাপ দিলে কাচ ভেঙে যায়। সেজন্য কাচ ভঙ্গুর।



জনপ্রিয় বিষয়সমূহ

ফলিত বিজ্ঞান · পদার্থ · রসায়ন · জ্যোতির্বিদ্যা · বিজ্ঞানী · জ্যামিতি · বীজগণিত · গণিতবিদ
পরিবহন · যন্ত্র · প্রকৌশল · টেলিযোগাযোগ · কম্পিউটারইলেকট্রনিক্স · ন্যানোপ্রযুক্তি · কৃষি · মহাকাশ · সামরিক প্রযুক্তি
মানবদেহ · রোগব্যাধি · মনোবিজ্ঞান · পুষ্টি · জিনতত্ত্ব · চিকিৎসা · জরুরী চিকিৎসা

জীববিজ্ঞান · জীবাণু · উদ্ভিদ · অমেরুদণ্ডী · মাছ · উভচর · সরীসৃপ · পাখি · স্তন্যপায়ী

ভূতত্ত্ব · রাষ্ট্রসমূহ · মানচিত্র · শহর · সাগরমহাসাগর · পাহাড়-পর্বত · নদ-নদী · দ্বীপ · আবহাওয়াজলবায়ু · অভিযান
সমাজ · সংস্কৃতি · সমাজবিজ্ঞান · নৃবিজ্ঞান · রাষ্ট্রবিজ্ঞান · সরকার · আইন · রাজনীতি · বিচার · শিক্ষা · সামরিক বাহিনী
অর্থনীতি · শিল্প · ব্যবসা · ব্যাংক

ধর্মীয় দর্শন · আস্তিক্যবাদ · নাস্তিক্যবাদ · ইসলাম · হিন্দুধর্ম · বৌদ্ধধর্ম · খ্রিস্টধর্ম · ধর্মগ্রন্থ

ভাষাবিজ্ঞান · ভাষা পরিবার · প্রাচীন ভাষা · বিলুপ্ত ভাষা · ব্যাকরণ · লিখন · কবিতা · উপন্যাস · কল্পসাহিত্য · বাংলা সাহিত্য
স্থাপত্য · ভাস্কর্য · সঙ্গীত · নৃত্য · চিত্রশিল্প · আলোকচিত্র · চলচ্চিত্র · স্থাপত্য
ক্রীড়া প্রতিযোগিতা · ক্রিকেট · ফুটবল · বিনোদন · বাংলাদেশের গ্রামীণ খেলাধুলা

বর্ষপঞ্জি · ইতিহাস · সভ্যতা · প্রাচীন সভ্যতা · প্রত্নতত্ত্ব · যুদ্ধ · সমসাময়িক ঘটনা

পেশা অনুযায়ী নারী · নারী সহিংসতা · বিজ্ঞানী · দার্শনিক · নারীস্বাস্থ্য · নোবেলজয়ী
সাহিত্যিক · বিজ্ঞানী · গণিতবিদ · শিল্পী · অভিনয়শিল্পী · রাজনীতিবিদ · খেলোয়াড়
পশ্চিমবঙ্গ (সরকার · ইতিহাস · জেলা · ব্যক্তিত্ব · ভূগোল · শিক্ষা প্রতিষ্ঠান · সংস্কৃতি · কলকাতা) · ত্রিপুরা · অসম

সরকার · ইতিহাস · প্রশাসনিক অঞ্চল · সামরিক বাহিনী · বাংলাদেশি · ভূগোল · শিক্ষা · সংস্কৃতি · ঢাকা · চট্টগ্রাম